ঘরে বসে নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করুন অনলাইনে https://bdris.gov.bd

নতুন জন্ম নিবন্ধনের আবেদন ফরম পূরণ করার নিয়ম, জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন ও অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধন করতে আবেদন ফি কত টাজা লাগে এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা থাকে আজকের এই প্রচ্ছদে।

বর্তমানে হাতের লেখা জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেটের কোন প্রকার দাম নেই সবাইকে অনলাইনের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন করিয়ে নিতে হচ্ছে। তাই আপনি যদি আপনার কিংবা আপনার সন্তানদের জন্য অথবা অন্য কারো জন্ম নিবন্ধন করতে চান তাহলে ঘরে বসেই নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণ করতে পারবেন।

অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধন সনদের জন্য আবেদন করার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। সম্পূর্ণ লেখাটি পড়লে আপনি নিজেই নিজের কিংবা অন্য কারো জন্য ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে পারবেন। চলুন তাহলে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম করার সঠিক পদ্ধতি এবং নির্ভুলভাবে জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করা সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া ছবিসহ দেখে নেই।

তথ্য প্রযুক্তির ছোঁয়া আমাদের সরকারি সেবার মধ্যেও স্পর্শ করেছে, তাইতো বর্তমানে হাতে লিখে কোন জন্ম নিবন্ধন সনদের জন্য আবেদন করা যায় না। নতুন কিংবা পুরাতন জন্ম সনদ কে ডিজিটাল করার জন্য অবশ্য অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন jonmo nibondhon online ফরম পূরণ করতে হবে।

Table of Contents

নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন

নতুন জন্ম নিবন্ধন সনদের জন্য দুইটি পদ্ধতি অবলম্বন করা যায়। প্রথমত আপনাকে আপনার ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয় সরাসরি উপস্থিত হয়ে জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে হবে। আর না হয় ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণ করতে পারেন।

দুটি প্রযুক্তির কার্যপ্রণালী একই হয়তো আপনি নিজে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সনদপত্রের জন্য আবেদন করবেন অথবা ইউনিয়ন পরিষদের কর্মকর্তাগণ নিজে জন্ম সনদের জন্য অনলাইনে আবেদন করবে। এর জন্য যাতায়াত এবং সময়ের উপর গুরুত্ব দিয়ে অনলাইনে নিজে নিজে নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য কিভাবে আবেদন করতে হয় সে বিষয়ে জানতে চাইছি।

তবে মনে রাখবেন আবেদন যেভাবেই করা হোক না কেন অরজিনাল  জন্ম নিবন্ধন সনদ অবশ্যই ইউনিয়ন পরিষদ অথবা পৌরসভা কিংবা কাউন্সিল থেকে সংগ্রহ করতে হবে

যাদের হাতের লেখা জন্ম নিবন্ধন রয়েছে তারা চাইলেও অনলাইনের মাধ্যমে ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করে নিতে পারবে। এটি করার জন্য পুরনো হাতের লেখা জন্ম নিবন্ধন সনদ সাথে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে হবে।

কখন নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা উচিত

সরকারি নিয়ম এবং জন্ম এবং মৃত্যু নিবন্ধন আইন ২০০৪ অনুসারে শিশুর জন্ম গ্রহণ করা ৪৫ দিনের মধ্যে তার জন্ম নিবন্ধন করে ফেলা বাধ্যতামূলক। তবে অনেক সময় নানা সমস্যার কারণে শিশুর জন্মের ৭ দিনের মধ্যে তার জন্ম নিবন্ধন  jonmo nibondhon রেজিস্ট্রেশন করা হয়ে উঠে না।

তবে সবচেয়ে ভালো হয় শিশুর পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই অনলাইনের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন করিয়ে নেওয়া। তা না হলে নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে অতিরিক্ত কাগজপত্রের প্রয়োজন পরবে ও অতিরিক্ত ঝামেলা পোহাতে হবে।

কোন শিশু জন্মগ্রহণ করার ৪৫দিনের মধ্যে অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণ করা সবচেয়ে সহজ। খুব বেশি ডকুমেন্ট বা কাগজপত্র প্রয়োজন হয় না শুধুমাত্র টিকা কার্ড এবং পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র হলেই নতুন জন্ম নিবন্ধন করিয়ে নেওয়া যায়। চলুন তাহলে দেখে নেই বয়সভেদে জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট তৈরি করতে এবং অনলাইনে আবেদন করতে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হয়…

জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি লাগে

বয়সের উপর ভিত্তি করে অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধন করার ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। নতুন জন্ম নিবন্ধন করতে প্রধানত প্রয়োজন হয় শিশুর ইপিআই টিকা কার্ড বা হাসপাতালের ছাড়পত্র, হোল্ডিং ট্যাক্সের রশিদ অথবা জমির খাজনা পরিশোধের রশিদ। সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও তথ্য সংগ্রহ করেই অনলাইনে আবেদন করতে হবে এবং আবেদন করার সময় নির্ভুলভাবে সকল তথ্য দিতে পারবেন। জন্ম নিবন্ধন (jonmo nibondhon) করতে গিয়ে ভুল তথ্য দিলে পরবর্তীতে এটির জন্য অনেক ভুগতে হয়।

শিশুর বয়স ০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে হলেঃ

  • ইপিআই (টিকা) কার্ড
  • পিতা ও মাতার ডিজিটাল বা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন কপি (যদি থাকে)
  • পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি (যদি থাকে)
  • বাসার হোল্ডিং নম্বর এবং হাল সনের হোল্ডিং ট্যাক্সের রশিদ
  • আবেদনকারী পিতা-মাতা/ অভিভাবকের মোবাইল নম্বর

শিশুর বয়স ৪৬ থেকে ৫ বছর হলেঃ

  • ইপিআই (টিকা) কার্ড / স্বাস্থ্য কর্মীর প্রত্যায়নপত্র (স্বাক্ষর ও সীলসহ)
  • পিতা ও মাতার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন কপি (যদি থাকে)
  • পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি (যদি থাকে)
  • প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের প্রত্যয়নপত্র (স্বাক্ষর ও সীলসহ)
  • বাসার হোল্ডিং নম্বর এবং হাল সনের হোল্ডিং ট্যাক্সের রশিদ
  • আবেদনকারী পিতা-মাতা/ অভিভাবকের মোবাইল নম্বর
  • আবেদন ফরম জমা দেয়ার সময় ১ কপি রঙ্গিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি।

৫ বছরের বেশি শিশু বা ব্যক্তির জন্যঃ

  • বয়স প্রমাণের জন্য চিকিৎসক কর্তৃক প্রত্যয়ন পত্র (বাংলাদেশ মেডিক্যাল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল কর্তৃক স্বীকৃত এমবিবিএস বা তদূর্ধ্ব ডিগ্রিধারী)
  • সরকার কর্তৃক পরিচালিত প্রথমিক শিক্ষা সমাপনী, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট
  • পিতা ও মাতার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন কপি (যদি থাকে)
  • পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি (যদি থাকে)
  • অথবা, জন্মস্থান বা স্থায়ী ঠিকানা প্রমাণের জন্য পিতা / মাতা/ পিতামহ / পিতামহীর দ্বারা স্বনামে স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে ঘোষিত আবাস স্থলের বিপরীতে হালনাগাদ কর পরিশোধের প্রমানপত্র
  • অথবা, জমি অথবা বাড়ি ক্রয়ের দলিল, খাজনা ও কর পরিশোধ রশিদ। (নদীভাঙ্গন অন্য কোন কারনে স্থায়ী ঠিকানা বিলুপ্ত হলে)

অনলাইন জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণ করার নিয়ম

আমরা অনেকেই জানি বর্তমানে হাতের লেখা জন্ম নিবন্ধন কোন কাজে আসে না। আমরা তাও জানি বর্তমানে সকল jonmo nibondhon অনলাইন এর মাধ্যমে ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করতে হয়। জন্ম নিবন্ধন করার ওয়েবসাইট এর লিংক সচরাচরই পরিবর্তিত হয় বর্তমানে কার্যকর বাংলাদেশ জন্ম এবং মৃত্যু সনদ ওয়েবসাইটের লিঙ্ক হচ্ছে https://bdris.gov.bd/

আপনাদের সুবিধার জন্য নিচে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন তৈরি করার পদ্ধতি ধাপে ধাপে বর্ণনা করা হয়েছে…

অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার নিয়ম জেনে নিন

ধাপ১ঃ জন্ম নিবন্ধন তৈরি ঠিকানা নির্বাচন

প্রথমে আমাদেরকে বাংলাদেশ জন্ম এবং মৃত্যু সনদ ওয়েবসাইট https://bdris.gov.bd/  ভিজিট করতে হবে। আপনি আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোন অথবা কম্পিউটার দিয়ে উপরের লিংকে ভিজিট করলেই নিচে দেয়া ছবির মত একটি পেজ ওপেন হবে।

জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করার সময় জন্ম নিবন্ধন কোন অফিস থেকে সংগ্রহ করতে চান সেই ঠিকানা বাছাই করার অপশন থাকবে। জন্ম নিবন্ধনধারী তার সুবিধামত তিনটি স্থানের যেকোনো একটি স্থান বাছাই করে সেই ঠিকানা থেকে জন্ম নিবন্ধন অরিজিনাল কপি সংগ্রহ করতে পারবে।

জন্ম নিবন্ধন অফিস হিসেবে নিচে উল্লেখিত ঠিকানা বাছাই করা যায়।

  • জন্মস্থান
  • স্থায়ীঠিকানা
  • বর্তমান ঠিকানা

তাই আপনার সুবিধামতো কোন ঠিকানায় জন্ম নিবন্ধন করলে তা সংগ্রহ করতে সহজ হবে সেই ঠিকানা বাছাই করতে পারবেন। তবে স্থায়ী ঠিকানা জন্ম নিবন্ধন করলে তা সংগ্রহ করতে সহজ এবং ঝামেলা মুক্ত হয়। জন্ম নিবন্ধন ঠিকানা নির্বাচন করার পর পরবর্তী বাটনে ক্লিক করলে নতুন একটি পেজ ওপেন হবে।

ধাপ২ঃ নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম

নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার এই ধাপটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। যার জন্ম নিবন্ধন করা হচ্ছে তার যাবতীয় তথ্য এই ধাপে পূরণ করতে হয়। জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণ করার সময় সতর্ক থাকতে হবে যাতে কোন প্রকার ভুল না হয়। একবারপুর ফরম ফিলাপ করে ফেলে এটি সাজানো অনেক কঠিন এবং ঝামেলার কাজ।

জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা হচ্ছে তার নাম বাংলা এবং ইংরেজিতে লিখতে হবে জন্ম তারিখ এবং পিতামাতার কততম সন্তান সহ প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করতে হবে। সঠিকভাবে জন্য স্থানের ঠিকানা ফিলাপ করতে হবে এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে বিভাগ জেলা এবং উপজেলা জন্য সঠিকভাবে নির্বাচন করা হয় তার সাথে ইউনিয়ন ওয়ার্ড এবং ডাকঘরের স্থানটি সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।

সমগ্র তথ্যই একবার ইংরেজি এবং একবার বাংলায় টাইপ করতে হবে কেননা বর্তমানে জন্ম নিবন্ধন সনদ বাংলা এবং ইংরেজি উভয় ভাবেই বের করা যায়।

অনেকে আবার নাম পূরণ করার সময় নানাবিধ কনফিউশন এর মধ্যে পরে থাকে। ব্যক্তির নাম যদি একটিমাত্র শব্দের হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে নামের প্রথম অংশের ঘর খালি রেখে নামের শেষ অংশের ঘরে নামটি লিখতে হবে।

নাম যদি দুই শব্দের হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে প্রথম ঘরে নামের প্রথম অংশ এবং দ্বিতীয় করে নামের শেষের অংশ ইনপুট করতে হবে।

আর যদি নাম ৩টি শব্দের হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে নামের প্রথম অংশের ঘরে প্রথম দুই শব্দ এবং নামের শেষাংশ ঘরে নামের শেষ অংশ হবে

ধাপ৩ঃ জন্ম নিবন্ধন ফরম পিতা ও মাতার তথ্য পূরণ করার নিয়ম

কিছুদিন পূর্বেও সন্তানের জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার ক্ষেত্রে পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন অনলাইন থাকা অত্যাবশ্যক ছিল। বর্তমানে পিতা-মাতা জন্ম নিবন্ধন অনলাইন না থাকলেও শুধুমাত্র জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে শিশুর জন্ম নিবন্ধন আবেদন করা সম্ভব হচ্ছে।

যদি পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন সনদ অনলাইন থেকে থাকে সে ক্ষেত্রে পিতার জন্ম নিবন্ধন নাম্বার এবং মাতার জন্ম নিবন্ধন নাম্বার প্রবেশ করালে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পিতা-মাতার যাবতীয় তথ্য বাকি ঘরগুলোতে পূরণ হয়ে যাবে। তবে পিতা-মাতা কারো যদি জন্ম নিবন্ধন অনলাইন না থাকে, সে ক্ষেত্রে নিচে দেখানো ছবির এক নম্বর এবং দুই নম্বর ঘর খালি রেখে পরবর্তী ঘরগুলো নিজে নিজে পূরণ করতে হবে।

যদি মেনুয়ালি এই ঘরগুলো পূরণ করেন সে ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যাতে বানানে কোন প্রকার ভুল না হয় একবার ভুল হলে সেটি শোধরানো অনেক ঝামেলার ব্যাপার। উল্লেখিত ইনপুট গুলো সঠিকভাবে পূরণ হয়ে গেলে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করে সামনের দিকে অগ্রসর হতে হবে।

ধাপ৪ঃ জন্ম নিবন্ধন আবেদন স্থায়ী এবং বর্তমান ঠিকানা নির্বাচন

এই ধাপে এসে নিবন্ধিত ব্যক্তির বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা এবং করতে হবে। প্রথমেই আপনাকে আপনি কি নিম্নলিখিত কোন ঠিকানা আপনার স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করতে চান কিনা এরকম একটি অপশন থাকবে সেখানে কোনোটিই নয় অপশনটি সিলেক্ট করলে নিচের ছবির মত আরো কিছু অপশন চলে আসবে।

অপশন গুলো থেকে জন্ম নিবন্ধন ধারীর স্থায়ী ঠিকানা এবং বর্তমান ঠিকানা ভালোভাবে পূরণ করতে হবে। এখানেও খেয়াল রাখতে হবে কোন প্রকার তথ্য যেন ভুল প্রধান না করা হয়। যদি ব্যক্তির জন্মস্থান এর ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা একই হয় সেক্ষেত্রে মার্ক করা অপশনটি সিলেক্ট করে দিতে হবে। আর যদি স্থায়ী ঠিকানা এবং বর্তমান ঠিকানা একই হয় সে ক্ষেত্রে তার নিচে মার্ক করা অপশন সিলেক্ট করে দিতে হবে।

প্রয়োজনমতো তথ্য গুলো সঠিকভাবে পূরণ হয়ে গেলে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করতে হবে। আর তথ্য যদি কোন প্রকার ভুল থাকে অথবা এর আগে তাদের কোন কিছু ভুল হয়ে গেছে এমন মনে হলে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করে আগের ধাপে চলে যাওয়া যাবে।

ধাপ৫ঃ  আবেদনকারীর তথ্য – জন্ম নিবন্ধন অনলাইন আবেদন ২০২৩

আমরা দেখতে দেখতে আবেদনের শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে এই পর্যায়ে এসে যে ব্যক্তি জন্ম নিবন্ধন আবেদন করে দিচ্ছে তার তথ্য প্রদান করতে হবে। একজন শিশুর জন্ম নিবন্ধন করার ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন আবেদনকারী হিসেবে পিতা, মাতা এবং আইনত অভিভাবক আবেদন করতে পারবে।

পিতা অথবা মাথা কিংবা নিচে দেওয়া অপশনগুলো থেকে কেউ যদি যেকোনো একটি অপশন সিলেক্ট করে সেই ক্ষেত্রে আবেদনকারীর তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে পূরণ হয়ে যাবে। তবে অন্যান্য অপশনটি ভাষায় করলে আবেদনকারীর তথ্য মেনুয়াল ইনপুট করতে হবে।

আবেদনকারীর নাম স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে আসলেও মোবাইল নাম্বার এবং ইমেইল এড্রেস নিজে ইনপুট করতে হবে। এখানে অবশ্যই একটি সচল মোবাইল নাম্বার দিতে হবে কারণ অনলাইনে আবেদন করার জন্ম নিবন্ধনের সর্বশেষ আপডেট এবং অ্যাপ্লিকেশন আইডি এই মোবাইল নাম্বারে এসএমএস এর মাধ্যমে প্রেরণ করা হবে।

ধাপ৬ঃ জন্ম নিবন্ধন আবেদন পত্র প্রিন্ট

ইতিমধ্যে আমাদের আবেদন করার শেষ এখন আবেদনপত্রটি প্রিন্ট করে সংরক্ষণ করে রাখার পালা। এখানে ডাউনলোড করার কোন অপশন নেই তাই আপনার কম্পিউটারের সাথে প্রিন্টার যুক্ত থাকলে সরাসরি প্রিন্ট করে নিতে পারবেন।

তা না হলে আপনার মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে যেই অ্যাপ্লিকেশন আইডি পাঠানো হবে সেটি ব্যবহার করে কম্পিউটার দোকান থেকে আবেদনপত্রটি প্রিন্ট করে নিতে পারেন। আবেদন করার পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন আবেদন পত্রের প্রিন্ট কপি এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট যেগুলো জন্ম নিবন্ধন করার সময় প্রমানপত্র হিসেবে দাখিল করা হয়েছে, সেগুলো সঙ্গে নিয়ে পৌরসভা অথবা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে যোগাযোগ করে, জন্ম নিবন্ধন অরিজিনাল সনদ সংগ্রহ করতে হবে।

জন্ম নিবন্ধন আবেদনের বর্তমান অবস্থা ও সনদ ডাউনলোড

আমরা ইতিমধ্যে অনলাইনের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন সনদের জন্য আবেদন করে ফেলেছি। জন্ম নিবন্ধন এর বর্তমান অবস্থা জানার জন্য অর্থাৎ আপনার আবেদনটি অনুমোদন হয়েছে কিনা তা সম্পর্কে জানতে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করে সর্বশেষ আপডেট জানতে পারেন।

আপনার আবেদনটি অনুমোদন হয়ে গেলে অনলাইন থেকে জন্ম নিবন্ধন সনদ অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারবেন। তবে মেইন কপি বা অরিজিনাল জন্ম নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করতে হলে অবশ্যই পৌরসভা অথবা ইউনিয়ন পরিষদে যোগাযোগ করতে হবে।

জন্ম নিবন্ধন আবেদন সংক্রান্ত সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন উত্তর

জন্ম নিবন্ধন করতে কত টাকা লাগে?

অনলাইনে জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে জন্মনিয়ন্ত্রণের কিছু নির্ধারিত ফি রয়েছে। শিশুর জন্মের 45 দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করলে সে ক্ষেত্রে কোন প্রকার ফি প্রদান করতে হবে না।

শিশুর বয়স ৪৫ দিন থেকে ৫বছরের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করলে সেক্ষেত্রে ২৫টাকা এই প্রদান করতে হবে। 5 বছরের বেশি বয়সের ক্ষেত্রে 50 টাকা প্রদান করে জন্ম নিবন্ধন সংগ্রহ করতে হয়।

নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে কি কি লাগে?

বয়সের উপর ভিত্তি করে অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধন করার ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। নতুন জন্ম নিবন্ধন করতে প্রধানত প্রয়োজন হয় শিশুর ইপিআই টিকা কার্ড বা হাসপাতালের ছাড়পত্র, হোল্ডিং ট্যাক্সের রশিদ অথবা জমির খাজনা পরিশোধের রশিদ।

জন্ম নিবন্ধন কখন করতে হয়?

সরকারি নিয়ম অনুসারে একটি শিশুর জন্মের 45 দিনের মধ্যে তার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সম্পন্ন করা আবশ্যক। যদি কোনো কারণে 45 দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করতে না পারা যায় তাহলে অবশ্যই 5 বছর পূর্তি হওয়ার আগেই জন্ম নিবন্ধন করে ফেলা উচিত।

পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধন না থাকলে জন্ম নিবন্ধন করা যাবে?

বর্তমানে পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন অনলাইন না থাকলেও সন্তানের জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করা যাচ্ছে। তবে অবশ্যই পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার প্রয়োজন হবে। 

Similar Posts

One Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *