অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার নিয়ম ২০২৩ | জন্ম নিবন্ধন সংশোধন
অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন আবেদন করে জন্ম নিবন্ধন থাকা যেকোন ভুল তথ্য পরিবর্তন করা যায়। নামের বানান অথবা বয়স সংশোধনের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হয়।
জন্ম নিবন্ধন সংশোধন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অনেক সময় আমাদের জন্ম নিবন্ধন সনদে ভুল লিপিবদ্ধ হওয়া অথবা ভুল তথ্য থাকার কারণে এটির সংশোধন করার প্রয়োজন হয়। বর্তমান সময়ে ঘরে বসেই অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করা সম্ভব হচ্ছে। আজকে আমরা জানতে চলেছি অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন কারেকশন করার সঠিক নিয়ম এবং সহজ উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
জন্ম নিবন্ধন সনদ একজন ব্যক্তির দেশের নাগরিকত্বের প্রথম প্রমাণপত্র। ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার আগ পর্যন্ত অর্থাৎ জাতীয় পরিচয় পত্র হাতে পাওয়ার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের বৈধ নাগরিক হিসেবে জন্ম নিবন্ধন সনদ ব্যক্তির একমাত্র ভরসা। আর এই জন্ম নিবন্ধন সনদ এর উপর ভিত্তি করে পরবর্তীতে জাতীয় পরিচয় পত্র এবং স্কুল জীবনের সকল সার্টিফিকেট তৈরি হয়ে থাকে।
কারো জন্ম নিবন্ধনে ভুল থাকলে তার পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র যেমন জাতীয় পরিচয় পত্র,পাসপোর্ট এবং বোর্ড পরিক্ষার সার্টিফিকেট এসব ক্ষেত্রে ভুল হতে থাকবে। জন্ম নিবন্ধন সনদে কোন প্রকার ভুল থাকলে তা আগে থেকেই সংশোধন করে নেওয়া উচিত। বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন সনদ সংশোধন করার উপায় থাকায়, যে কেউ ঘরে বসেই জন্ম নিবন্ধন কারেকশন করতে পারবে।
অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার নিয়ম
অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার জন্য https://bdris.gov.bd/br/correction এই লিংকটি ভিজিট করুন। তারপর ১৭ সংখ্যার জন্ম নিবন্ধন নাম্বার এবং জন্মতারিখ লিখে অনুসন্ধান করুন। প্রয়োজনীয় তথ্য সংশোধন করে আবেদন সাবমিট করুন।
জন্ম নিবন্ধন সনদে একবার ভুল হয়ে গেলে সেটি যদি সংশোধন করা না হয় তাহলে পরবর্তী সময়ে জাতীয় পরিচয় পত্র থেকে শুরু করে জীবনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে এই ভুল তথ্য বয়ে বেড়াতে হবে। অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য কিভাবে পরিবর্তন করতে হয় সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার অনলাইন পদ্ধতি কয়েকটি ধাপে বিন্যস্ত করা হয়েছে। নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে যে কেউ ঘরে বসে স্মার্টফোন অথবা কম্পিউটারের ব্যাবহার করে খুব সহজে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে পারবে অনলাইনের মাধ্যমে।
জন্ম নিবন্ধন সংশোধন আবেদন
জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য পরিবর্তন অর্থাৎ সংশোধনী করার জন্য প্রথমেই চলে যেতে হবে বাংলাদেশ জন্ম এবং মৃত্যু নিবন্ধন ওয়েবসাইটের bdris.gov.bd/br/correction link এই লিঙ্কে প্রবেশ করার পর আপনাকে জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংশোধন আবেদন পেজে নিয়ে যাবে।
সেখানে কিছু নিয়মাবলী এবং নির্দেশনা লেখা থাকে ভাল হয় আপনি সব গুলো ভালো করে পড়ে নিলে। আপনি যে সব তথ্য সংশোধন বা পরিবর্তন করতে চান তা সঠিক ভাবে নির্বাচন করুন।
ধাপ১ঃ জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য নিবন্ধন তথ্য যাচাই
উপরের লিংকে ক্লিক করার পর আপনার সামনে নিচে দেখানো ছবির মত একটি পেজ চলে আসবে। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে এখানে দুটি ইনপুট ফিল্ড রয়েছে যেখানে প্রথমটি তে জন্ম নিবন্ধন নম্বর এবং দ্বিতীয়ত ঘরে জন্মতারিখ দেয়ার অপশন রয়েছে।
জন্ম নিবন্ধন ঘরে ১৭ সংখ্যার জন্ম নিবন্ধন নাম্বার এবং জন্মতারিখের ঘরে যার জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংশোধন করতে চান কারো জন্য তারিখ দিতে হবে। সঠিক তথ্য পূরণ করার পর অনুসন্ধান বাটনে ক্লিক করতে হবে।
অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে হলে অবশ্যই জন্ম নিবন্ধনটি অনলাইন করা থাকতে হবে। প্রদত্ত তথ্য সঠিক হলে অনুসন্ধান বাটনে ক্লিক করার সাথে সাথে নিচে ব্যক্তির কিছু ইনফরমেশন দেখাবে। অনলাইনে আপনার জন্ম সনদ রয়েছে কিনা সেটি চেক করতে পারেন।
ধাপ২ঃ জন্ম নিবন্ধন সংশোধন অনলাইন তথ্য নিশ্চিত করন
যার জন্ম নিবন্ধন সংশোধন তথ্য পরিবর্তন করতে চাচ্ছেন তার তথ্য ইনপুট করার পর অনুসন্ধান বাটনে ক্লিক করলে যদি ব্যক্তির সঠিক তথ্য অর্থাৎ নিজের নাম বাবার নাম এবং মায়ের নাম সঠিক হয়ে থাকে তাহলে এই ধাপে আমাদের কাজ হচ্ছে নির্বাচন করুন বাটনে ক্লিক করা।
উপরের ছবিটি লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন ছবিটি নিচের দিকে একটি নির্বাচন করুন নামক বাটন রয়েছে। এখন আপনি যদি অনলাইনের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র সংশোধনের জন্য আবেদন করতে আগ্রহী হন তাহলে এই বাটনে ক্লিক করতে হবে। এখন নিচের ছবিটি লক্ষ্য করুন।
যেহেতু জন্ম নিবন্ধন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং এটি অনলাইনের মাধ্যমে পরিবর্তন করতে চাচ্ছেন তাই আপনাকে আরে আরো একবার মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য একটি ওয়ার্নিং দেখাবে। যেহেতু আমরা জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে যাচ্ছি তাই কনফার্ম বাটনে ক্লিক করে সামনের দিকে অগ্রসর হবো।
ধাপ৩ঃ জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের বিষয় বাছাই করন
জন্ম নিবন্ধনে অনেক প্রকার ভুল থাকতে পারে তাই প্রয়োজন অনুসারে সংশোধনের বিষয়টি নির্বাচন করুন। আপনার জন্ম নিবন্ধন যে তথ্য পরিবর্তন তথ্য সংশোধন করার প্রয়োজন সেটি বাছাই করুন। অনলাইনের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধনের যে সকল তথ্য সংশোধন করা যায় তার তালিকা নিচে প্রদান করা হলোঃ–
- ব্যক্তির নাম
- জন্ম তারিখ
- লিঙ্গ
- পিতার নাম
- মাতার নাম
- জাতীয়তা
- জাতীয় পরিচয় পত্র
- পিতা-মাতার জাতীয়তা
জন্ম নিবন্ধনের যে বিষয়টি পরিবর্তন অর্থাৎ সংশোধন করতে হবে সে বিষয়টি নির্বাচন করুন। প্রত্যেকটি বিষয়ের বাংলা এবং ইংরেজি উভয় ভার্সন পরিবর্তন করা সম্ভব। বাংলা নামের বানানে ভুল থাকলে বাংলা নির্বাচন করতে হবে আর যদি ইংরেজি নামে ভুল থাকে তাহলে ইংরেজি অপশনটি বাছাই করতে হবে।
জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে একাধিক তথ্য ভুল থাকলে একাধিকবার রেকর্ড করতে হবে। এটি করার জন্য আরও তথ্য সংযোগ এই বাটনে ক্লিক করতে হবে।
ধাপ৪ঃ সাহিত্য সংশোধিত তথ্য
জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের বিষয়টি নির্বাচন করা হয়ে গেলে ভুল তথ্য পরিবর্তন করে নতুন করে যে তথ্য দিতে চাচ্ছেন সেই তথ্যটি চাহিত সংশোধিত তথ্য ঘরে দিতে হবে। জন্ম সনদ সংশোধন করে নতুন যে তথ্য দিতে চাচ্ছেন সেটি চাহিত সংশোধিত তথ্য ইনপুট ফিল্ড দিতে হবে।
নিচের ছবিটি লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন তিনটি লাল বর্ডার দিয়ে চিহ্নিত ঘর দেখানো হয়েছে। সেখানে বাম দিক থেকে প্রথম যে ঘরটি সেটি হচ্ছে আপনি আপনার জন্মনিবন্ধনের যে বিষয় বস্তু পরিবর্তন করতে চান সেটি বাছাই করার অপশন। এরপরে যে কটি রয়েছে সেটি হচ্ছে সাহিত্য সংশোধিত তথ্য ইনপুট ফিল্ড। এখানে পরিবর্তন করে নতুন যেই নাম বা তথ্য দিতে চান সেটি পূরণ করবেন।
ধাপ৫ঃ জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের কারণ নির্বাচন
জন্ম নিবন্ধন সংশোধন এর কারণ হিসেবে এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র ভুল লিপিবদ্ধ করা হয়েছে এই অপশনটি বাছাই করা যাচ্ছে। তাই আপনাকে সংশোধনের কারণ হিসেবে ভুল লিপিবদ্ধকরণ বিষয়টিকে উল্লেখ করে দিতে হবে। নিচে প্রদর্শিত ছবিটির একেবারে ডানদিকে লাল বর্ডারে দেখানো হচ্ছে জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের কারণ উল্লেখের ঘর।
ধাপ৬ঃ জন্ম নিবন্ধনের ঠিকানা নির্বাচন
অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করা এই ধাপে এসে আপনাকে আপনার জন্মস্থান এর ঠিকানা স্থায়ী ঠিকানা এবং বর্তমান ঠিকানা ফিলাপ করতে হবে। ঠিকানা নির্বাচন করার ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে এখানে টাইপ করে লেখার কোনো সুযোগ নেই। মেনু থেকে ধাপে ধাপে নির্বাচন করে সম্পূর্ণ বিষয়টি সম্পন্ন করতে হবে।
জন্মস্থানের ঠিকানার জন্য প্রথমেই আপনাকে দেশ সিলেক্ট করতে হবে। যদি আপনি বাংলাদেশ থেকে অনলাইনের মাধ্যমে নিজের কিংবা অন্য জনের জন্য জন্ম নিবন্ধন সনদ সংশোধন করতে চান সে ক্ষেত্রে দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সিলেক্ট করতে হবে।
আপনি যে বিভাগের বাসিন্দা সে বিভাগ বাছাই করতে হবে। এভাবে পর্যায়ক্রমে জেলা, উপজেলা অথবা সিটি কর্পোরেশন, ডাকঘর, গ্রাম, পাড়া-মহল্লা বাছাই করতে হবে।
একই নিয়ম অনুসরণ করার মাধ্যমে স্থায়ী ঠিকানা এবং বর্তমান ঠিকানা ঘরগুলো পূরণ করতে হবে। মনে রাখতে হবে সংশোধন করার পর কোন তথ্য ভুল করা যাবে না তাহলে জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংশোধনে সমস্যা হতে পারে।
ধাপ৭ঃ জন্ম নিবন্ধন সংশোধন অনলাইন প্রমাণপত্র আপলোড
আমরা দেখতে দেখতে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সনদ সংশোধন করার প্রায় শেষের দিকে চলে এসেছি। জন্ম নিবন্ধনের যে সকল তথ্য পরিবর্তন করা কবে তার বৈধ প্রমাণপত্র প্রয়োজন হবে। সংশোধিত তথ্য যেই ডকুমেন্ট বা প্রমানপত্রের সাথে মিল রয়েছে সে সকল প্রমাণপত্র আপলোড করতে হবে।
বোঝার সুবিধার্থে একটি উদাহরণ দিয়ে বোঝানো যাক, ধরুন আপনি নিজের নামের বানান সংশোধন করতে চাচ্ছেন সে ক্ষেত্রে আপনার যদি জাতীয় পরিচয় পত্রের সঠিক বানান থেকে থাকে অথবা কোন স্কুল সার্টিফিকেট সঠিক বানান থেকে থাকে তাহলে সেটি প্রমাণপত্র হিসেবে আপলোড করতে হবে।
আর যদি মা বাবার নামের সংশোধন করতে চান সে ক্ষেত্রে মা-বাবার জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা তাদের জন্মনিবন্ধনের স্ক্যান কপি ডকুমেন্ট হিসেবে আপলোড করতে হবে। এভাবে জন্মনিবন্ধনের যে বিষয়টি পরিবর্তন তথা সংশোধন করা হচ্ছে সেই বিষয়ের উপর নির্ভর করে প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র আপলোড করতে হবে।
ধাপঃ৮ জন্ম নিবন্ধন সংশোধন আবেদনকারীর তথ্য
জন্ম নিবন্ধন ভুল সংশোধন অনলাইন আবেদন করার শেষের দিকে যে ব্যক্তি সংশোধনের জন্য আবেদন করবে তার তথ্য প্রদান করতে হবে। যদি নিজেই নিজের জন্ম নিবন্ধন কারেকশন করার জন্য আবেদন করেন সেক্ষেত্রে নিজ সিলেক্ট করতে হবে। তারপর যথাক্রমে আবেদনকারীর নাম আবেদনকারীর ঠিকানা এবং মোবাইল নাম্বার সংযোজন করতে হবে।
যদি আবেদনকারী নিজ অথবা পিতা-মাতা ছাড়া অন্য কেহ হয় সে ক্ষেত্রে আবেদনকারীর জন্ম নিবন্ধন নাম্বার এবং জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার প্রয়োজন হবে।
প্রয়োজনীয় তথ্য এবং প্রমাণ পত্র দাখিলের পর পেমেন্ট এর মাধ্যমে হিসেবে ফি আদায় ঘরটি নির্বাচন করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করতে হবে। সবকিছু সঠিক ভাবে অনুসরণ করলে আপনার জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের আবেদন সাবমিট হয়ে যাবে।
ধাপঃ ৯ আবেদনপত্র প্রিন্ট এবং অ্যাপ্লিকেশন আইডি সংরক্ষণ
অনলাইনের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন আবেদন সম্পন্ন হওয়ার পর পর আপনাকে আবেদনপত্র প্রিন্ট করার সুযোগ দেওয়া হবে। কম্পিউটার থেকে আবেদন করে থাকলে সাথে সাথে প্রেম করে নিতে পারবেন তবে মোবাইলের ক্ষেত্রে অনেক সময় আবেদনপত্রটির প্রিন্ট অথবা ডাউনলোড করা সম্ভব হয় না।
তবে চিন্তার কোন কারণ নেই প্রত্যেকটি আবেদনের সাথে একটি অ্যাপ্লিকেশন আইডি থাকে আপনি চাইলে অ্যাপ্লিকেশন আইডি সংগ্রহ করে রাখতে পারেন। এই অ্যাপ্লিকেশন আইডি দিয়ে যেকোনো কম্পিউটার দোকান থেকে আপনার আবেদন ফরম প্রিন্ট করে নিতে পারবেন।
ধাপঃ ১০ সংশোধিত জন্ম নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ
আমরা জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পেরেছি আবেদনটি সঠিকভাবে সাবমিট হলে কিছুদিনের মধ্যেই প্রদত্ত মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদনের ফলাফল জানিয়ে দেওয়া হবে।
জন্ম সনদ সংশোধিত হলে যে সকল ডকুমেন্ট অনলাইনে সাবমিট করা হয়েছে সে সকল ডকুমেন্ট এর কপি সাথে করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ অথবা পৌরসভায় যোগাযোগ করতে হবে। তাছাড়া বর্তমানে অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ ডাউনলোড করা যায়।
আপনার প্রিন্ট করা আবেদন ফরম এবং অনলাইনে সাবমিট করা প্রমানপত্র সহকারে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা পৌরসভা যোগাযোগ করলে আপনি আপনার সংশোধিত অরিজিনাল জন্ম নিবন্ধন হাতে পেয়ে যাবেন।
জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের ক্যাটাগরির উপর ভিত্তি করে সংশোধনের প্রমাণপত্র হিসেবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করতে হয়। কোন ধরনের তথ্য পরিবর্তনের জন্য কি ডকুমেন্ট বা কাগজপত্র প্রয়োজন হয় চলুন সেটি দেখে নেই।
নাম, জন্ম তারিখ ও পিতা-মাতার নাম | জাতীয় পরিচয় পত্রশিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপাসপোর্টের কপিপিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন বা জাতীয় পরিচয়পত্রটিকা কার্ড/ হাসপাতালের সনদ |
স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন | কাউন্সিলর বা চেয়ারম্যানের প্রত্যয়নপত্রস্থায়ী ঠিকানার হালনাগাদ কর পরিশোধের রসিদ |
বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তন | বিদ্যুৎ/ ইউটিলিটি বিলের কপি |
জন্ম নিবন্ধন সংশোধন ফি
জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের ধরনের ওপর ভিত্তি করে, জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংশোধন ও পূরণের জন্য নির্ধারিত ফি রয়েছে।জন্ম নিবন্ধন সনদ সংশোধনের জন্য নির্ধারিত ফি নিচে টেবিল আকারে প্রকাশ করা হলো—
সংশোধনের ধরণ | দেশে | বিদেশে |
তথ্য সংশোধনের জন্য ফি | ১০০ টাকা | ২ ডলার |
জন্ম তারিখ ব্যতীত নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, ঠিকানা ইত্যাদি ও অন্যান্য তথ্য সংশোধনের জন্য | ৫০ টাকা | ১ ডলার |
বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় মূল সনদ বা তথ্য সংশোধনের পর সনদের কপি সরবরাহ | বিনা ফিসে | বিনা ফিসে |
বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় সনদের নকল সরবরাহ | ৫০ টাকা | ১ ডলার |
জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে কত টাকা লাগে?
উত্তরঃ বাংলাদেশ সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী, জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংশোধন, পুনঃমুদ্রণের জন্য ফি নির্ধারণ করেছে। জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে ২০০-৩০০ টাকা লাগে। সরকারি ফি ৫০ টাকা এবং জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য ১০০ টাকা। তবে আপনাকে কিছু বাড়তি টাকা খরচ করতে হবে।
অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন কতবার সংশোধন করা যায়?
উত্তরঃ বাংলাদেশ জন্ম এবং মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে একজন ব্যক্তি জন্ম সনদ অনলাইন এর মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৪বার সংশোধনের জন্য আবেদন করা যাবে।
জন্ম নিবন্ধন সংশোধন হতে কতদিন সময় লাগে?
উত্তরঃ অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের আবেদন করার পর দুই সপ্তাহের মধ্যেই জন্ম নিবন্ধন সংশোধন হয়ে যায় তবে কখনো কখনো এ সময়ের তারতম্য ঘটতে পারে। তাই আপনাকে আপনার ইউনিয়ন পরিষদ অথবা পৌরসভায় যোগাযোগ রাখতে হবে।