জন্ম নিবন্ধন যাচাই | জন্ম তারিখ দিয়ে জন্ম নিবন্ধন যাচাই
জন্ম নিবন্ধন যাচাই এবং অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন চেক করার বিষয় সম্পর্কিত আলোচনায় আপনাকে স্বাগতম। আমাদের অনেকেরই জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার প্রয়োজন হতে পারে। তখন আমরা বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমের শরণাপন্ন হই।
কিন্তু সঠিক নিয়ম না জানার কারণে আমাদের অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হয়। কোন ওয়েবসাইটে সহজে জন্ম তারিখ দিয়ে কিভাবে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে হয় তা বলা হয় না। তাই আজকে আমরা খুব সহজ ভাবে বর্ণনা করার চেষ্টা করব, কিভাবে জন্ম তারিখ দিয়ে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করবেন। তই চলুন শুরু করা যাক।
জন্ম নিবন্ধন যাচাই
অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সনদ যাচাই করার জন্য https://everify.bdris.gov.bd এই সাইটে প্রবেশ করতে হবে। আপনার ১৭ সংখ্যা জন্ম নিবন্ধন নাম্বার এবং জন্ম তারিখ (yyy-mm-dd) পূরণ করার পর একটি সিকিউরিটি ক্যাপচা দিয়ে Search বাটনে ক্লিক করতে হবে, জন্ম নিবন্ধনের তথ্য সঠিক থাকলে কাঙ্ক্ষিত জন্ম নিবন্ধন সম্পর্কিত তথ্য প্রদর্শিত হবে।
এভাবে যেকোনো জন্ম নিবন্ধন আসল কিনা অর্থাৎ অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সম্পর্কিত কোনো রেকর্ড বা তথ্য রয়েছে কি না সেটি যাচাই করতে পারবেন। জন্ম নিবন্ধন সনদ অনলাইন করা হয়েছে কিনা সেটাও একই ভাবে যাচাই করতে পারবেন। জন্ম নিবন্ধন যাচাই সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য এবং প্রয়োজনীয় ধাপ গুলো নিচে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
জন্ম নিবন্ধন কি ?
চলুন সর্বপ্রথম জেনে নিই জন্ম নিবন্ধন কি এই সম্পর্কে। জন্ম নিবন্ধন হলো জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০০৪ (২০০৪ সনের ২৯ নং আইন) এর আওতায় একজন মানুষের নাম, লিঙ্গ, জন্মের তারিখ ও স্থান, বাবা-মায়ের নাম, তাদের জাতীয়তা এবং স্থায়ী ঠিকানা নির্ধারিত নিবন্ধক কর্তৃক রেজিস্টারে লেখা বা কম্পিউটারে এন্ট্রি প্রদান এবং জন্ম সনদ প্রদান করা।
এটি একজন বাংলাদেশী নাগরিকের সরকার অনুমোদিত ও অফিসিয়াল প্রথম প্রমান পত্র। জাতীয় পরিচয় পত্র হওয়ার আগ পর্যন্ত যে কোন কাজে এই জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রয়োজন হয়।
জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করা গুরুত্বপূর্ণ কেন?
আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন কাজে জন্ম নিবন্ধন দরকার হয় যার কারনে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন আবেদন করতে হয় । আমাদের নানা কাজে জন্ম নিবন্ধন প্রয়োজন যা নিচে তালিকা আকারে প্রকাশ করা হল।
1. স্কুলে ভর্তি | 2. জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তি |
3. বিবাহ নিবন্ধন | 4. ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা |
5. পাসপোর্ট ইস্যু | 6. ড্রাইবিং লাইসেন্স ইস্যু |
7. ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু | 8. বিবাহ নিবন্ধন |
9. গাড়ি রেজিস্ট্রেশন | 10. জমি রেজিস্ট্রেশন |
উপরের টেবিলের বর্ণনা থেকে বুঝতে পারলাম জাতীয় পরিচয় পত্র কোন কোন ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় উপরে উল্লেখিত ক্ষেত্র ছাড়াও আরও বেশ কিছু প্রয়োজনে জাতীয় পরিচয় পত্রের বিপরীতে জন্ম নিবন্ধন এর প্রয়োজন হয়।
- ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু
- আমদানি ও রপ্তানি লাইসেন্স ইস্যু
- গ্যাস, পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ প্রাপ্তি
- বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ
- শিশুশ্রম প্রতিরোধ
- বাড়ির নকশা অনুমোদন
জন্ম নিবন্ধন যাচাই কপি
আপনি যদি অনলাইন জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে চান তবে এই পোস্ট টি আপনার জন্যই। আপনি খুব সহজেই আমাদের বাংলাদেশ সরকারের সরকারি ওয়েবসাইট থেকে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন যাচাই কপি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। কিভাবে করবেন তা স্টেপ বাই স্টেপ দেখানোর চেষ্টা করেছি।
অনলাইন জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার নিয়ম
আপনার জন্ম নিবন্ধন যাচাই এর জন্য প্রথমেই বাংলাদেশ সরকারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে চলে যাবেন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে। ওয়েব সাইটে গেলে আপনাকে নিচের মত একটি ইন্টারফেস দেখানো হবে। এখান থেকে নিচের স্টেপগুলো ফলো করে খুব সহজেই আপনার কাঙ্ক্ষিত জন্ম নিবন্ধন যাচাই কপি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
Step-1: জন্ম তারিখ দিয়ে জন্ম নিবন্ধন যাচাই
জন্ম তারিখ দিয়ে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে হলে প্রথমেই আপনাকে আপনার জন্ম নিবন্ধন নম্বর টি দিবেন। তারপর আপনার জন্ম তারিখ বসাবেন।খেয়াল রাখবেন আপনার দেওয়া তথ্য যেন নির্ভুল ও সথিক হয়।
জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার জন্য আপনার জন্ম তারিখ দেওয়ার পর একটি সহজ অঙ্ক করতে হবে মানে কাপচা পুরন করতেহ হবে। আপনাকে বলা হতে পারে এত থেকে এত বাদ দিলে বা এত এর সাথে এত যোগ করলে কত হয় অর্থাৎ যেটাই বলা হোক খেয়াল করে সঠিক উত্তরটি বক্সে টাইপ করে লিখতে হবে।তারপর সার্চ বাটনে ক্লিক করলে নতুন পেজ ওপেন হবে।
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট লিঙ্কঃ https://everify.bdris.gov.bd/
Step-2:জন্ম নিবন্ধন যাচাই অনলাইন চেক
সব তথ্য সঠিক ভাবে দিলে আপনি আপনার জন্ম নিবন্ধন খুব সহজেই অনলাইন চেক করতে পারবেন।নিচের ছবি টি খেয়াল করলে বুজতে পারবেন।
অনলাইন জন্ম নিবন্ধন যাচাই
অনলাইন জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার জন্য আপনার ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন নম্বরটি প্রবেশ করাতে হবে। আপনার জন্ম নিবন্ধনটি যদি ১৬ সংখার হয় তবে খুব সহজেই আপনি ১৬ ডিজিট থেকে ১৭ ডিজিট করতে পারবেন।
১৭ ডিজিটের কম জন্ম নিবন্ধন নম্বর হলে সংশ্লিষ্ট নিবন্ধকের কার্যালয়ে পুরাতন সনদটি জমা প্রদান করে ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন নম্বর সম্বলিত সনদ নেওয়া যাবে। নিবন্ধনের সকল স্তরের মত এক্ষেত্রে নাগরিকের নিজস্ব মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে হবে।
জন্ম নিবন্ধন নম্বর ১৬ ডিজিট হলে বা ১৭ ডিজিটের কম হলে, প্রথম ১১ ডিজিটের পর ০ (শুন্য) যুক্ত করে ১৭ ডিজিট করতে পারবেন। তারপর ও বুঝতে সমস্যা হলে জেনে নিন কিভাবে জন্ম নিবন্ধন ১৬ থেকে ১৭ সংখ্যার জন্ম নিবন্ধন কতে হয়।
জন্ম নিবন্ধন যাচাই সম্পর্কে কারো কিছু জানার থাকেলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
তারিখ দিয়ে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করব কিভাবে ?
জন্ম তারিখ দিয়ে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে হলে আপনাকে সম্পূর্ণ পোস্ট টি ভালমত পরতে হবে।খুব সহজেই জন্ম নিবন্ধন যাচাই অনলাইন চেক করতে পারবেন।
জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার সরকারি ওয়েবসাইট কোনটি?
জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে হলে পোস্ট এর মধ্যে থাকা ওয়েবসাইট লিঙ্ক এ প্রবেশ করতে হবে।
জন্ম নিবন্ধন কিভাবে ১৬ থেকে ১৭ ডিজিট করা যায়?
জন্ম নিবন্ধন নম্বর ১৬ ডিজিট হলে বা ১৭ ডিজিটের কম হলে, প্রথম ১১ ডিজিটের পর ০ (শুন্য) যুক্ত করে ১৭ ডিজিট করতে পারবেন।তারপর ও বুঝতে সমস্যা হলে পোস্ট টি পরুন সহজভাবে বলা হয়েছে।
Santo
Hello my friend! I want to say that this article is awesome, nice written and include approximately all significant infos. I’d like to see more posts like this.