নতুন ভোটার হওয়ার অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম | অঙ্গীকার নামা PDF ডাউনলোড

বিদেশে কর্মরত থাকার কারণে অথবা অন্য কোন কারণে পূর্বে ভোটার হওয়ার সুযোগ থাকলেও ভোটার হতে না পারলে, নতুন ভোটার হতে অঙ্গীকারনামা জমা দিতে হয়। যাদের বয়স বেশি তারা নতুন জাতীয় পরিচয় পত্র আবেদন করলে আবেদনের সাথে লিখিত অঙ্গীকারনামা নির্বাচন আফিসে জমা দিতে হয়।

অনেকে দীর্ঘ দিন দেশের বাহিরে অবস্থান করার কারণে সময় মতো (১৬ বছর থেকে ২০ বছর) ভোটার আইডির জন্য নিবন্ধন করতে পারেনা। তারাই যখন নতুন আইডি কার্ড করতে যাবে তখন পূর্বে কখনো ভোটার হয়নি এই মর্মে অঙ্গীকারনামা লিখতে হয়।

ভোটার অঙ্গীকারনামা কি?

ইতোপূর্বে কখনো ভোটার হওয়ার আবেদন করা হয়নি এবং ভবিষ্যতে একাধিকবার ভোটার হওয়ার প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে তার কোন আপত্তি থাকবে না এই মর্মে লিখিত অঙ্গীকার কে ভোটার অঙ্গীকারনামা বলে।

যারা সময় ও সুযোগ থাকতে ভোটার হয়নি তারা ভোটার না হতে পারার কারন এবং পূর্বে কোন ভোটার নিবন্ধন করেনি এই বিসয় ডিক্লার করে নিজের অঙ্গীকার বেক্ত করে ভোটার আবেদনের সাথে এই অঙ্গীকারনামা জমা দিতে হবে।

অনেকে আগের ভোটার আইডি কার্ডে ভুল থাকার কারনে নতুন করে পুনরায় নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে চায়। আমরা জানি একজন ব্যক্তি দুই বার ভোটার হতে পারেনা। এমনটি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। ছবি ও হাতের আঙ্গুলের ছাপ দেয়ার সময় ধরা পরে যাবে।

আপনার আইডি কার্ডে ভুল থাকলে তা জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন আবেদন করার মাধ্যমে পরিবর্তন করে নিতে পারবেন। কখনো এনআইডি কার্ডে ভুল থাকলে আরেকটি আইডি কার্ড করতে যাবেন না। দৈত ভোটার আইনত দণ্ডনীয় আপরাধ।

ভোটার অঙ্গীকারনামা লিখার নিয়ম

যাদের বয়স বেশি তাদের নতুন ভোটার হওয়ার আবেদন করার জন্য অঙ্গীকারনামা প্রয়োজন হয়। ভোটার অঙ্গীকারনামায় ব্যক্তির নাম, পিতা মাতার নাম, সম্পূর্ণ ঠিকানা সহ সময় মতো ভোটার হতে না পারার কারন উল্লেখ করতে হয়। আগে কখনো আইডি কার্ডের জন্য নিবন্ধন করেনি  অঙ্গীকারনামায় এটিও নিশ্চিত করতে হয়।

ভবিষ্যতে ডাবল ভোটার হবার প্রমান পেলে আবেদনকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করলে তা মেনে নিতে বাধ্য থাকিবে। অঙ্গীকারনামার শেষে স্বাক্ষর, নাম ও ঠিকানা লিখতে হয়।

কোন নাগরিক যাতে একবারের বেশি ভোটার আবেদন করতে না পারে সে জন্য তাকে এই অঙ্গীকারনামা লিখতে হয়। এর মধ্যে স্পস্ট উল্লেখ থাকে আবেদনকারী এর আগে কখনো জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য আবেদন করেনি। আগে ভোটার নিবন্ধন হয়ে থাকলে এবং এটি গোপন করে থাকলে, প্রমাণিত হলে আইনের আতায় আনা হলে তার কোন আপত্তি থাকবে না।

ভোটার অঙ্গীকার নামার নমুনা

নতুন ভোটার অঙ্গীকারনামার নমুনা নিচে দেয়া হলো। যে সকল লেখার নিচে দাগ (আন্ডারলাইন) দেয়া আছে তা আপনার তথ্য দিয়ে পরিবর্তন করে নিতে হবে। আমি তথ্য পরিবর্তনের সুবিধের জন্য পরিবর্তনশীল শব্দের নিচে দাগ টেনে দিয়েছি।

অঙ্গীকার নামা

এই মর্মে অঙ্গীকার করছি যে, আমি বাবুল মিয়া, পিতা- রহিম উদ্দিন, মাতা- মরিয়াম বেগম, গ্রাম-আম নগর, পোস্ট- গোপালপুর ৩৮২৮, উপজেলা- বেগমগঞ্জ, জেলা-নোয়াখালী, অত্র এলাকার একজন স্থায়ী বাসিন্দা।

দীর্ঘ সময় বিদেশে অবস্থান করার কারণে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রমের সময় এলাকায় উপস্থিত থেকে ভোটার হতে পারিনি। তাই এখন নতুন ভোটার নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছি। আমি আরও অঙ্গীকার করছি যে, ইতোপূর্বে বাংলাদেশর কোথায়ও ভোটার নিবন্ধন করিনি। যেহেতু একাধিকবার ভোটার হওয়া আইনত দন্ডণীয় অপরাধ সেহেতু আমি ভবিষ্যতে দ্বৈত ভোটার হলে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন আমার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করলে আমি তা মেনে নিতে বাধ্য থাকব।

এমতাবস্থায়, আমাকে নতুন ভোটার করার জন্য আপনার নিকট সবিনয় অনুরোধ করছি।(স্বাক্ষর)

বাবুল মিয়াপিতা- রহিম উদ্দিন,গ্রাম- আম নগর, পোস্ট- গোপালপুর ৩৮২৮,উপজেলা- বেগমগঞ্জ, জেলা- নোয়াখালী।

অঙ্গীকার নামা MS Word file ডাউনলোড করুন

ভোটার অঙ্গীকার নামা Word file ডাউনলোড করে সেটি নিজের তথ্য দিয়ে পরিবর্তন করুন। তার পর প্রিন্ট করে নতুন ভোটার আবেদনের ডকুমেন্টের সাথে জমা দিতে পারবেন। নাম, ঠিকানা ও এতদিন ভোটার না কারণ নিজের সাথে মিলিয়ে পরিবর্তন করতে ভুলবেন না।

এখান থেকে ডাউনলোড করে ms doc ফাইলটি Microsoft word আপ্লিকেশনে ওপেন করুন। তারপর আপনার নিজ নিজ তথ্য ব্যবহার করে ফাইলটি সেইভ এবং প্রিন্ট করুন। জাতীয় পরিচয় পত্র আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাথে এই অঙ্গীকার নামা জমা দিন।

ভোটার অঙ্গিকার নামা
অঙ্গীকারনামা

নতুন ভোটার আইডি কার্ড করতে কি কি কাগজ জমা দিতে হয় তা যদি না জেনে থাকেন তাহলে আমাদের নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে এই লেখাটি দেখতে পারেন। অনলাইনে জাতয় পরিচয়পত্রের আবেদনে যে সব ডকুমেন্টস প্রয়োজন তা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

ভোটার অঙ্গীকারনামা সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর

ভোটার অঙ্গীকার নামায় কোন ঠিকানা লিখবো?
আপনি যে একালায় ভোটার হতে চান ভোটার অঙ্গীকার নামার ঠিকানার স্থানে সেই ঠিকানা দিতে পারেন। তাছাড়া আপনার স্থায়ী ঠিকানা ব্যবহার করে অঙ্গীকারনামা লিখতে পারেন।

ভোটার হতে না পারার কারণ কি দিবো?
সময় মতো ভোটার আইডি না করতে পারার পেছনে ব্যক্তি ভেদে ভিন্ন ভিন্ন কারণ থাকে। কেউ অনেক দিন প্রবাসে থাকার কারণে আইডি কার্ড করতে পারেন না। কেউ কেউ লেখা পড়ার জন্য বিদেশ চলে যায় তাই NID Card করতে পারে না। আপনি যে কারণে ভোটার হতে পারেন নি তা লিখে দিবেন।

ভোটার অঙ্গীকারনামা কাদের লাগে? 
বর্তমানে ১৬ বছর বয়স থেকেই জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য আবেদন করা যায়। যারা বয়স এবং পূর্বে ভোটার হওয়ার সুযোগ থাকা সত্তেও ভোটার হয়নি। যাদের বয়স বেশি কিন্তু ভোটার হনি বলে নতুন ভোটার হতে চাচ্ছে তাদের জন্য ভোটার অঙ্গীকার নামা প্রয়োজন।

Similar Posts

One Comment

  1. মাইনুদ্দিন says:

    নতুন ভোটার এর জন্য আবেদন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *