মাত্র ২দিনে হারানো ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড – নতুন নিয়ম
আপনার ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্র হারিয়ে গেছে? এখন হারিয়ে যাওয়া আইডি কার্ড পুনরায় ডাউনলোড করার উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন, আপনার হারিয়ে যাওয়া জাতীয় পরিচয় পত্র মাত্র এক সপ্তাহের (৭ দিন) মধ্যে হাতে পাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে চলেছি।
NID card Re-Issue online
হারানো ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার প্রয়োজনীয়তা
জাতীয় পরিচয় পত্র বা NID Card একজন ব্যক্তির রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট। নতুন সিম রেজিস্ট্রেশন থেকে শুরু করে বিকাশ, রকেট,নগদ ইত্যাদি মোবাইল ব্যাংকিং খোলার জন্য জাতীয় পরিচয় পত্রের আবশ্যিক প্রয়োজন। বিভিন্ন প্রকার সরকারি সেবা যেমন বয়স্ক ভাতা দরিদ্রদের সরকারি ত্রাণ এসবের ক্ষেত্রেও ভোটার আইডি কার্ডের প্রয়োজন হয়।
কখনো কখনো দুর্ঘটনা বা অজ্ঞতার কারণে ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটে থাকে। এর ফলে ব্যক্তি ব্যাংক একাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে যেসব ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয় পত্রের প্রয়োজন সকল ক্ষেত্রে বাধাগ্রস্ত হয়। পূর্বে জাতীয় পরিচয় পত্র রি-ইস্যু বা পুনর্মুদ্রণের প্রক্রিয়াটি কঠিন থাকলেও বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসেই হারানো ভোটার আইডি কার্ড খুব সহজে ডাউনলোড করা সম্ভব।
হারানো ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম
হারানো ভোটার আইডি কার্ড পুনরায় ডাউনলোড করার জন্য প্রথমে থানায় একটি সাধারণ ডায়রি (GD) লিখিয়ে থানার সিল ও সাক্ষর সহ স্ক্যান করে নিতে হবে। তারপর এনআইডি ওয়েবসাইটে NID card re-issue জন্য আবেদন করতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্র রি-ইস্যুর কারণ হিসেবে হারিয়ে গেছে বাছাই করুন। এখন জিডি কপি আপলোড করে আবেদন সম্পন্ন করুন।
হারানো আইডি কার্ড পুনরয় ডাউনলোড করার জন্য রি ইস্যু ফি পরিশোধ করতে হবে। প্রথমবার আইডি কার্ড রেগুলার ক্যাটাগরিতে রি ইস্যু ফি ২৩০ টাকা। এর পর পুনরায় আবেদন করতে হলে এই ফিসের পরিমাণ বাড়বে। জাতীয় পরিচয় পত্র রি ইস্যু ফি তালিকা এই লিখার শেষের দিকে উল্লেখ করা হয়েছে।
হারানো জাতীয় পরিচয়পত্র রি-ইস্যু করুন
হারিয়ে যাওয়া জাতীয় পরিচয় পত্র ২টি উপায়ে পুনরায় হা হাতে পাওয়া যায়। ভোটার হওয়ার সময় এর উপর নির্ভর করে জাতীয় পরিচয় পত্র রি ইস্যু করার পদ্ধতি ভিন্ন ভিন্ন। যারা ২০১৯ সাল কিংবা তার পরবর্তী সময়ে ভোটার আইডি কার্ডের জন্য হালনাগাদ করেছে তারা চাইলে তাদের হারিয়ে যাওয়া এনআইডি কার্ডটি বিনামূল্যে জাতীয় পরিচয়পত্র ওয়েবসাইট থেকে যেকোনো সময় ডাউনলোড করে নিতে পারবে। ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড link করার নিয়ম
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ওয়েবসাইট থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র শুধু মাত্র PDF ডাউনলোড করা যায় এবং সেটি প্রিন্ট ও লেমিনেটিং করে ব্যবহার করা যায়। এখন পর্যন্ত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার সুবিধা চালু হয়নি
আর যাদের ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্র ২০১৯ সালের আগেই হয়ে গেছে এবং নির্বাচন কমিশন কর্তৃক NID Card বিতরণ করা হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে, হারানো ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য প্রথমে থানায় জিডি দাখিল করতে হবে। থানায় দাখিল করা জিডি ব্যবহার করে অনলাইন মাধ্যমে হারানো আইডি কার্ডের জন্য রি-ইস্যু আবেদন করতে হবে।
ভোটার কার্ড হারিয়ে যাওয়ার দরখাস্ত
হারিয়ে যাওয়া ভোটার আইডি কার্ড পুনরায় ডাউনলোড করার জন্য প্রথমে যে কাজটি করতে হবে সেটি হচ্ছে নিকটস্থ থানায় জাতীয় পরিচয় পত্র হারিয়ে গেছে প্রসঙ্গে একটি সাধারণ ডায়েরি জিডি লিখতে হবে। সাধারণ ডায়েরি লেখা হয়ে গেলে জিটি দুটি কপি সঙ্গে নিয়ে থানায় যোগাযোগ করতে হবে এবং সেখান থেকে জিডির কপি সংগ্রহ করতে হবে।
খেয়াল রাখতে হবে আপনি যে সাধারণ ডায়েরি করিয়েছেন তার মধ্যে যেন থানার সিল এবং যে অফিসার ইনচার্জ আপনার জিডি গ্রহণ করেছে তার নাম এবং তার পদবী উল্লেখ থাকে। এখন আপনার কাজ এই সাধারণ ডায়েরির কপিটি স্কিন করিয়ে নেওয়া অথবা মোবাইলে সুন্দর করে ছবি তুলে সংগ্রহ করা।
অনেকে হয়তো কিভাবে থানায় জিডি অর্থাৎ সাধারণ ডায়রি লিখতে হয় সেটি জানেন না। এর জন্য নিচে জাতীয় পরিচয় পত্র হারানো প্রসঙ্গে সাধারণ ডায়েরি লেখার নিয়ম ও অনুলিপি দেওয়া হলঃ
আপনাদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে হারিয়ে যাওয়া জাতীয় পরিচয় পত্র প্রসঙ্গে থানায় জিডি দাখিলের জিডি আবেদন নমুনা এবং PDF ফাইল দেওয়া হল। জিডির আবেদন নমুনা টি ডাউনলোড করে প্রয়োজনীয় এডিট করে সেটি থানায় দাখিল করলেই হবে।
আইডি কার্ড হারিয়ে গেলে করণীয়
কোন একটি আইডি কার্ড হারিয়ে গেলে প্রাথমিক যে কাজটি করতে হয় সেটি হলো থানায় সাধারণ ডায়েরি দাখিল করা। সেই কাজটি আমরা করে ফেলেছি। সাধারণ ডায়েরি বা (GD)সম্পর্কিত কিছু ডকুমেন্ট সংগ্রহ করতে হবে।
- জিডি নম্বর
- জিডি গ্রহণকারী কর্মকর্তার নাম
- জিডি গ্রহণকারী কর্মকর্তার পদবি
- জিডির তারিখ
- জিডি কপিতে অবশ্যই থানার সিল এবং জিটি গ্রহণ করে কর্মকর্তার সাক্ষ্য থাকতে হবে
এসব তথ্য সংগ্রহ করা হয়ে গেলে পরবর্তী কাজ হল বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশননের জাতীয় পরিচয় পত্র পোর্টালে ভোটার আইডি কার্ড রি-ইস্যু আবেদন করা।
জাতীয় পরিচয়পত্র রিইস্যুর আবেদন করার নিয়ম
ধরে নিচ্ছি আপনি উপরের নিয়ম অনুসরণ করে হারানো জাতীয় পরিচয় পত্র সম্পর্কিত সাধারণ ডায়েরি লিখেছেন এবং যথাযথ তথ্য আপনার কাছে রয়েছে। এখন জাতীয় পরিচয় পত্র রিইস্যুর আবেদন করার পালা।
আপনি যদি জাতীয় পরিচয় পত্র ওয়েবসাইটে নতুন হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে প্রথমে জাতীয় পরিচয় পত্র তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন করা খুবই সহজ জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার এবং জন্ম তারিখ দিয়ে রেজিস্ট্রেশনের প্রথম ধাপ অতিক্রম করে ফেলতে পারবেন। তারপর জাতীয় পরিচয় পত্রের স্থায়ী ঠিকানা এবং বর্তমান ঠিকানা যাচাই করতে হবে।
ইতিমধ্যে যদি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র একাউন্ট করা থাকে তাহলে লগইন করতে বলা হবে। আপনার ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য দিয়ে লগিন করার পর নিচের ছবির মত একটি ড্যাশবোর্ড দেখতে পাবেন। রেজিস্ট্রেশন এবং লগইন এর কাজ সম্পন্ন হলে আমরা চলে যাব জাতীয় পরিচয় পত্র ইস্যু করার আবেদন করতে।
ধাপ১ঃ জাতীয় পরিচয়পত্রের ওয়েবসাইটে (NID Application System) এ প্রবেশ
এনআইডি অ্যাপ্লিকেশন হোমপেজে প্রবেশ করার পর উপরের ছবির মত একটি ইন্টারফেস দেখতে পাবেন। আমরা যেহেতু হারানো ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে চাচ্ছি বা পুনরায় মুদ্রণ করতে চাচ্ছি সে ক্ষেত্রে আমাদের এই অপশনটি বাছাই করতে হবে। উপরের ছবিতে লাল চিহ্ন দ্বারা চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছে যাতে করে খুব সহজে এসো লেখাটি খুঁজে পেতে পারেন।
এই পেজে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের যাবতীয় তথ্য দেখানো হবে। আপনার নাম
- জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার
- বর্তমান ঠিকানা এবং
- ভোটার এলাকা
এসকল তথ্য সঠিক থাকলে রিইস্যু মেনুটি ক্লিক করতে হবে । তার পর আপনার সামনে একটি নতুন পেজ খুলে যাবে। পেজটি দেখতে নিচের ছবির মত হবে…
এখন আপনি একটি এডিট নামক বাটন দেখতে পাবেন। এই বাটনে চাপ দেওয়ার সাথে সাথে একটি Pop Up দেখাবে, যেখানে রিইস্যু সম্পর্কিত কিছু দিক নির্দেশনা এবং প্রয়োজনীয় পেমেন্ট পরিশোধের মাধ্যমগুলো সম্পর্কে বলা থাকবে। এনআইডি কার্ড রি ইস্যু করার প্রয়োজনীয় ফি সমূহ তালিকা জানতে নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশ ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে পারেন
ধাপ ২ঃ প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ – হারানো আইডি কার্ড উত্তোলনের অনলাইন আবেদন
এখন আপনাকে জাতীয় পরিচয় পত্র পুনর্মুদ্রণের কারণ হিসেবে হারিয়ে গেছে অপশনটি বাছাই করতে হবে। থানায় জিডি করার বিষয়টি আমরা প্রথমে আলোচনা করেছি। যেই ঘরে GD নাম্বার বসানোর কথা বলা হয়েছে সেই সেখানে জিডি নাম্বার এবং আপনি যে থানায় সাধারণ ডায়েরি লিখিয়েছেন সেই থানার নাম লিখে ঘর গুলি পূরণ করতে হবে।
খালি ঘরে দ্বিতীয় সারিতে যথাক্রমে পুলিশ অফিসারের নাম এবং তার পদ্ধতি বসাতে হবে সর্বশেষ পরে যেদিন থানায় জিডি লিখেছিলেন সেই দিনের তারিখ বসিয়ে সাবমিট বাটনে ক্লিক করতে হবে। নিচে দেওয়া ছবিটি লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন কোন কোন বিষয়ে আপনাকে লক্ষ রাখতে হবে সর্বশেষ আপনাকে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করে এই ধাপটি সম্পন্ন করতে হবে।
ধাপ ৩ঃ রিইস্যুর জন্য পেমেন্ট- হারানো জাতীয় পরিচয় পত্র রিইস্যু আবেদন
হারানো ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার এই পর্যায়ে এসে রিইস্যু পরিশোধ করতে হবে। হারিয়ে যাওয়া এনআইডি কার্ড পুনরায় উত্তোলন করার জন্য একটি নির্ধারিত পরিমাণ সরকারি ফি প্রদান করে আবেদন করতে হয়।
আপনার এনআইডি কার্ড ইস্যু করার জন্য কত টাকা প্রয়োজন হবে সেটি হিসাব করার জন্য https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/fees এই লিঙ্কটি ব্যবহার করতে পারেন। লিঙ্ক ওপেন করার পর আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার এবং রিইস্যুর ধরন বাছাই করে টাকার পরিমাণ জেনে নিতে পারেন।
আইডি কার্ড বিতরনের ধরন সাধারণ এবং জরুরী দুজনের মধ্যে কেমন পার্থক্য রয়েছে আমার বেক্তিগত কোনো কোনো অভিজ্ঞতা নেই। শুক্র ও শনিবার ব্যতীত অন্যান্য দিন আবেদন করলে ৩ দিন থেকে ৭দিনের মধ্যেই আবেদনটি অনুমোদন পেয়ে যায় এবং অনলাইন থেকে ডাউনলোড করা সম্ভব হয়। বিতরনের ধরনের উপর ভিত্তি করে জাতীয় পরিচয় পত্র রিইস্যু ফি নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
প্রথমবারের মতো ভোটার আইডি কার্ড রিইস্যু প্রয়োজনীয় ফি সমূহ নিচে দেওয়া হলঃ-
বিতরনের ধরন | প্রযোজ্য ফি |
সাধারণ | 230 টাকা |
জরুরী | 345 টাকা |
সাধারণ স্মার্ট কার্ড | 230 টাকা |
জরুরী স্মার্ট কার্ড | 345 টাকা |
যে সকল মাধ্যমে ফি প্রদান করা যাবে তা নিচে দেয়া হলঃ
- ডাচ্-বাংলা ব্যাংক এবং রকেট মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে।
- ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড এবং ওকে ওয়ালেট মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে।
- ট্রাষ্ট ব্যাংক লিমিটেড এবং টি-ক্যাশ মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে।
- মিউচুয়াল ট্রাষ্ট ব্যাংক লিমিটেড।
- বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেড।
- ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড।
ধাপ ৪ঃ প্রয়জনিয় কাগজপত্র – হারানো ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড
নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত ফি পরিশোধ করা হয়ে গেলে পরবর্তী ধাপে আমাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাবমিট করতে হবে। হারানো আইডি কার্ডের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র জিডির কপি হলেই হবে আর কোন ডকুমেন্ট এর প্রয়োজন পরেনা।
ডকুমেন্ট আপলোড করার সময় খেয়াল রাখতে হবে ছবির সাইজ অর্থাৎ আপনি যে ডকুমেন্ট টি আপলোড করতে চাচ্ছেন সেটি যেন 100KB বেশি না হয়। সবকিছু ঠিকঠাক ভাবে সাবমিট করা হলে কনফার্ম করে দিতে হবে।
হারানো জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার উপায়
হারানো জাতীয় পরিচয়পত্র হাতে পাওয়ার জন্য ইতিমধ্যে আমরা কতগুলো ধাপ সম্পন্ন করেছি তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো থানায় জিডি করা এবং নির্বাচন কমিশন এনআইডি পোর্টালে ভোটার আইডি কার্ড রিইস্যু জন্য আবেদন।
আবেদনটি সম্পন্ন হলে আমাদের কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ আপনার আবেদনটি মূল্যায়ন করে যথাযথ মনে হলে এটিকে অনুমোদন করে দেবে। সচরাচর এক সপ্তাহের মধ্যেই হারানো আইডি কার্ড ইস্যুর আবেদন অনুমোদন হয়ে যায়। তবে কখনো কখনো আবেদনটি অ্যাপ্রভে হতে দুই সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।
আপনার হারিয়ে যাওয়া জাতীয় পরিচয় পত্র টি ভি এস আবেদন অনুমোদন হয়েছে কিনা সেটি আপনার মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। মোবাইলে এস এম এস পাওয়ার পর যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড অর্থাৎ জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করে নিতে হবে। কেননা আবেদন অনুমোদন আবার অনেকদিন পর সেটি আর ডাউনলোড করা যায়না।
হারানো ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড
আপনার ভোটার আইডি কার্ড রি-ইস্যুর আবেদনটি যখন অনুমোদন হয়ে যাবে তখন অনলাইন থেকে সেটি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে জাতীয় পরিচয় পত্র ওয়েবসাইটে লগইন করতে হবে এবং নিচে দেখানো ছবির মত করে ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করতে হবে।
জাতীয় পরিচয় পত্র অর্থ এনআইডি কার্ড পিডিএফ আকারে ডাউনলোড হবে। এই পিডিএফ ফাইলটি যে কোনো কম্পিউটার দোকানে নিয়ে প্রিন্ট করে নিবেন তারপর সেটাকে লেমিনেটিং করে ব্যবহার করতে পারবেন। নির্বাচন কমিশন থেকে প্রদানকৃত জাতীয় পরিচয় পত্র এবং অনলাইন থেকে ডাউনলোড কৃত জাতীয় পরিচয় পত্রের মধ্যে কোন প্রকার পার্থক্য নেই।
সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন
প্রশ্নঃ হারানো আইডি কার্ড বের হতে কতদিন সময় লাগে?
উত্তরঃ হারিয়ে যাওয়া জাতীয় পরিচয় পত্র অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করলে সেটি অনুমোদন হতে এক সপ্তাহ থেকে দুই সপ্তাহ সময় লাগতে পারে, তবে কখনো কখনো ২-৩ দিনেও হয়ে যায়।
প্রশ্নঃ ভোটার আইডি কার্ড রিইস্যু আবেদন ফি কত?
উত্তরঃ আইডি কার্ড বিতরণ এর উপর ভিত্তি করে এনআইডি কার্ড রি ইস্যু চারটি ভাগে বিভক্ত যথাঃ
- সাধারণ 230 টাকা
- জরুরী 345 টাকা
- সাধারণ স্মার্ট কার্ড 230 টাকা
- জরুরী স্মার্ট কার্ড 345 টাকা
প্রশ্নঃ জাতীয় পরিচয় পত্র রিইস্যু করার জন্য কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন?
উত্তরঃ হারিয়ে যাওয়া ভোটার আইডি কার্ড পুনরায় রি-ইস্যু করতে থানায় করা একটি জিডি কপি এবং জিটি সম্পর্কিত তথ্যাবলী প্রয়োজন
well thanks
হারিয়ে গেছে