বিদেশের মাটিতেই মিলবে Smart NID card – কার্যক্রম শুরু ঈদের পর
বিদেশে বসেই স্মার্ট জাতীয় পরিচয় পত্র হাতে পাবে সকল প্রবাসী বাংলাদেশীরা। ঈদুল ফিতরের পর পাইলট প্রকল্প চালু করতে চলেছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ঈদুল ফিতরের পর দুবাইয়ে প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। দুবাই কর্মরত বাংলাদেশি নাগরিক বিদেশে থেকেই হাতে পাবে স্মার্ট জাতীয় পরিচয় পত্র।
দুবাই থেকে আইডি কার্ড পেতে হলে বাংলাদেশ দূতাবাসে (এম্বাসি) নতুন জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য আবেদন করতে হবে। হাতের আঙ্গুলের ছাপ, ছবি, চোখের রেটিনা স্ক্যান ও সাক্ষর দিতে হবে। জমা দেয়া আবেদন প্রাথমিক যাচাই বাছাই ও তদন্ত করে আনুমোদন করা হবে।
দুবাই থেকে ভোটার আইডি কার্ডের আবেদন
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশিন প্রবাসী সকল বাংলাদেশিদের হাতে জাতীয় পরিচয় পত্র পৌছে দেয়ার লক্ষে প্রকল্প হাতে নিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে দুবাইয়ে এর কার্যক্রম শুরু হবে আসছে ঈদুল ফিতরের পর।
দুবাই থেকে ভোটার আইডি কার্ড হাতে পেতে হলে সংশ্লিষ্ট দূতাবাসে নতুন ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করতে হবে। আবেদন জমা দেয়া হলে এই আবেদন প্রাথমিক তদন্ত করে ব্যক্তির বায়োমেট্রিক তথ্য হাতের আঙ্গুলের ছাপ, ছবি, রেটিনা স্কেন ও স্বাক্ষর সংরক্ষন করা হবে।
দুবাই থেকে ভোটার আইডি
NID Card Application link আনুমোদন পেলে, বাংলাদেশে প্রস্তুত করা হবে স্মার্ট জাতীয় পরিচয় পত্র। এই আইডি কার্ড নির্বাচন কমিশন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আবার সুবাইয়ের দূতাবাসে পাথাবে। Smart NID Card সংশ্লিষ্ট দূতাবাসে পৌছে গেলে আবেদনকারীকে ইমেইল অথবা মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে।
এখন প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক তার জাতীয় পরিচয় পত্র সংগ্রহের জন্য উক্ত এমবাসি হতে তার এনআইডি কার্ড সংগ্রহ করতে পারবে।
প্রবাসী ভোটার আবেদন করতে যা যা লাগবে
প্রবাসীদের নতুন ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করতে পাসপোর্ট, অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ link, ভিসা কপি অথবা ওয়ার্ক পারমিট কাগজ প্রয়োজন হবে। তবে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ও প্রকল্প পরিচালক নাগরিকের সুবিধের কথা ভেবে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টে পরিবর্তন আনতে পারে।
বাংলাদেশ থেকে নতুন ভোটার হতে যে সকল ডকুমেন্ট প্রয়োজন অন্য দেশ থেকে ভোটার আইডি কার্ডের আবেদন করতে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এর কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। প্রবাসীদের ভোটার আবেদন করতে যা যা লাগবে–
- পাসপোর্ট
- জন্ম নিবন্ধন সনদ
- শিক্ষাগত যোজ্ঞতা সনদ
- ভিসা কপি
- ডাইভিং লাইসেন্স (যদি থাকে)
- পিতা আইডি কার্ডের কপি
- মাতার আইডি কার্ডের কপি
ভোটার আইডির আবেদন করার নিয়ম
নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আপনাকে বাংলাদেশ এম্বাসিতে (দূতাবাস) যোগাযোগ করতে হবে। প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে নতুন ভোটার আবেদন করতে করতে হবে। পূর্বে কখনো ভোটার না হয়ে থাকলে এবং তথ্য যাচাই বাছাই সম্পূর্ণ হলে আবেদনকারীকে বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদানের জন্য একটি তারিখ দেয়া হবে।
উক্ত তারিখে সংশ্লিষ্ট দূতাবাসে উপস্থিত হয়ে আঙ্গুলের ছাপ, চোখের রেটিনা, ছবি ও স্বাক্ষর দিয়ে আসতে হবে। এবার আপনার স্মার্ট আইডি কার্ড বাংলাদেশে প্রস্তুত করা হবে এবং আপনার জন্য আবার সেটি বিদেশে পাঠানো হবে।
আইডই কার্ড নির্ধারিত দূতাবাসে পৌছে গেলে আপনাকে Email অথবা মেসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে। তখন আপনি আপনার Smart NID card সংগ্রহ করতে পারবেন।
প্রকল্পের গুরুত্ব
দীর্ঘ দিন বিদেশে থাকার ফলে সময় মতো ভোটার হতে পারেনি অনেকেই। পরবর্তী সময়ে দেশে এসে নতুন ভোটার হতে চাইলে পরতে হয় বিপাকে। বেশি বয়সে জাতীয় পরিচয় পত্র আবেদন করতে আবেদনের সাথে জমা দিতে হয় নতুন ভোটার হওয়ার অঙ্গিকারনাম।link
দেশের মাটিতে আইডি কার্ডের প্রয়োজন হলে পরতে হয়ে বিড়ম্বনায়। পাসপোর্ট নবায়ন করতে প্রয়োজন হয় জাতীয় পরিচয় পত্রের। তাই প্রবাসীদের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে এই প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।